শিক্ষা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি আসলে চর্চার মাধ্যমে পরিবর্তন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের ফ্যাক্টরিগুলোতে নিরাপত্তার ক্রমবর্ধমান টেকসই কর্মসংস্কৃতি প্রতিষ্ঠাই নিরাপনের লক্ষ্য।

আমাদের পরিবর্তনের মন্ত্র

নিরাপদ কর্মস্থল ও শ্রমিকের অধিকার সংশ্লিষ্ট একটি আইনী কাঠামো গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ। এর ফলেই সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তায় এবং আইএলও-এর নির্দেশনায় বাংলাদেশ ফ্যাক্টরি নির্মাণে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। তবে, ফ্যাক্টরিগুলোয় শ্রমিকদের কাজের ও মত প্রকাশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখনও অনেকটা পথ পেরোতে হবে।

আর এই প্রচেষ্টায় সক্রিয় সমর্থন দিচ্ছে নিরাপন ও তার ৫৫টিরও বেশি মেম্বার প্রতিষ্ঠান। এরা সম্মিলিতভাবে ফ্যাক্টরির অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব গঠনে ভূমিকা রাখছে, যা ফ্যাক্টরিগুলোকে টেকসই নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও উৎসাহ দিয়ে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, চাপিয়ে দিয়ে নয়, বরং প্রয়োজনীয় শিক্ষার মাধ্যমেই ফ্যাক্টরির অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা তৈরি হয়, যা একটি দায়িত্বশীল ও নিরাপদ কর্মস্থল তৈরিতে সাহায্য করে ও শ্রমিকেরা নিরাপত্তবিষয়ক দায়িত্ব জানার মাধ্যমে নিজেরা চর্চা করে। যা দৈনন্দিন কাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে।

এ ছাড়াও কীভাবে নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা পরিচালনায় দলগতভাবে কাজ করে ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি টেকসই নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব, তা এই এডুকেশনাল আপ্রোচ ব্যবহার করে কিছু কাঠামোগত পদ্ধতির মাধ্যমে ফ্যাক্টরিগুলোকে দেখানো কর্মস্থলে নিরাপত্তার সংস্কৃতি তৈরি করার অংশ হিসাবে সেখানকার নিরাপত্তাবিষয়ক জটিলতা ও ঝুঁকি আগে থেকেই শনাক্ত করতে পারা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা কীভাবে করা সম্ভব, সে বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের সহযোগিতা করা হবে। জটিলতা ও বিপত্তি আগে থেকেই শনাক্ত করা গেলে ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে কমে আসবে। এর ফলে কর্মস্থল নিয়ে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মীদের মধ্যে ওনারশিপ তৈরি হবে। এতে কেবল পেশাগত আইনী বাধ্যবাধকতাই নয়, প্রতিষ্ঠানে তার কাজটিও যে গুরুত্বপূর্ণ সে বোঝাপড়া তৈরি হবে। আর এই পরিবর্তনগুলো কাস্টমারের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্যাবসায়িক উন্নয়ন ও বাংলাদেশের ব্যাবসায়িক সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করবে।

আমাদের সেবা

আমাদের মেম্বার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সাপ্লায়ার ফ্যাক্টরিকে নিরাপন সেইফটি ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে অন্তর্ভূক্ত করে। যার মাধ্যমে আমাদের লোকাল পার্টনারদের কারিগরি দক্ষতা ও জীবনযাত্রার জায়গা তৈরি করে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা

নিরাপনের সেইফটি সাপোর্ট টিম ফ্যাক্টরিগুলোর নিরপত্তার কাঠামোভিত্তিক বিস্তারিত ব্যবস্থাপনা তৈরিতে সহযোগিতা করে। ফ্যাক্টরি ম্যানেজাররা নিরাপনের ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই নিরাপত্তা বিষয়ে তাদের দরকারি তথ্যাদি পেয়ে থাকেন।

শিক্ষামূলক কার্যক্রম

একটি নিরাপদ কর্মস্থল তৈরির জন্য আমাদের নিরাপত্তা বাস্তবায়ন কার্যক্রম ফ্যাক্টরিতে কাজ করা সবাইকে তাদের গুরুত্ব বুঝতে এবং মেনে চলতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে এটি নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। এজন্য ম্যানেজার ও ফ্যাক্টরি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে যা একটি নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতার পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণেও তাদের দক্ষ করে তোলে।

শ্রমিকদের জন্য হেল্পলাইন

আমরা আমাদের কথা নামে একটি স্বনির্ভর সংস্থার সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করি। তারা একটি হেল্পলাইন পরিচালনা করে, যেখানে শ্রমিকরা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে নির্ভয়ে ফোন করে নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয়ে রিপোর্ট করতে পারে। এর মাধ্যমে ম্যানেজাররা তাদের সমস্যাগুলোর দ্রুত ও টেকসই সমাধান দিতে পারেন। আমরা হেল্পলাইন থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলোকে সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং কাজের ধারার প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে চিহ্নিত করে এ ব্যাপারে শিক্ষা কার্যক্রমকে অবহিত করতে পারি।