আমরা এমন একটি ইন্ডাস্ট্রির স্বপ্ন দেখি যেখানে শ্রমিক ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা ব্যবসায়িক কার্যক্রমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

নিরপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরপন তার মেম্বার ফ্যাক্টরিগুলোর টেকসই উন্নয়নের জন্য জনবল, পদ্ধতি ও নির্দেশনাবলি দিয়ে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। শুধু নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করাই নিরাপনের লক্ষ্য নয়, সেইসঙ্গে মানবাধিকার চর্চা, গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলোর আস্থা অর্জন এবং একটি মানবিক শিল্প সংষ্কৃতি তৈরিও এর অংশ।

আমাদের প্রভাব

ফ্যাক্টরিগুলোয় এমন একটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ গড়ে তোলা যেখানে শ্রমিকরা তাদের কাজের জায়গার নিরাপত্তা ঠিক রাখতে কী করতে হবে, সেটি বোঝে এবং নিরাপত্তায় যে সব ঝুঁকি চোখে পড়ে, সেগুলো নিয়ে কথা বলতে ভয় না পায়।

শ্রমিক

শ্রমিক

শিল্পকার্যক্রম ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোয় শ্রমিকের অংশগ্রহন সহজ করা, যাতে ঝুঁকি কমিয়ে নিরাপদ কর্মস্থল তৈরি করা সম্ভব হয়।

ফ্যাক্টরি

ফ্যাক্টরি

ফ্যাক্টরিগুলো যেন নিজেরাই তাদের কর্মী ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে সে জন্য তাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে একটি টেকসই অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা ও নির্ভরযোগ্য কর্মপন্থা গ্রহণ করা।

ইন্ডাস্ট্রি

ইন্ডাস্ট্রি

সাপ্লায়ার ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নিরাপত্তার লক্ষ্যে এই শিল্পের নেওয়া কার্যক্রমকে জটিলাতামুক্ত করা, যাতে করে সকল বায়ার নিরাপদ ফ্যাক্টরি থেকে তাদের পণ্য তৈরি করিয়ে নিতে পারে।

বাংলাদেশ

বাংলাদেশ

এমন একটি কর্মস্থল সংস্কৃতি গড়ে তোলা যাতে বাংলাদেশ নিরাপত্তা ও কার্যক্ষমতায় প্রথম সারির সাপ্লায়ার দেশ হয়ে ওঠে। এতে করে দেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে।

আমাদের গল্প

বাংলাদেশে একদিকে যেমন কর্মস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার অনুশীলন বাড়ছে, তেমনি কর্মস্থলে নিরাপত্তার টেকসই সংস্কৃতি গড়ে তোলার দাবিও বাড়ছে।

এই শিল্পের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকের মানোন্নয়নে বিনিয়োগ, টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি এবং উন্নয়ন ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে পার্টনারশিপের মাধ্যমে একটি ইতিবাচক কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে কাজ করছি। এ লক্ষ্যে মেম্বার কোম্পানি ও ফ্যাক্টরিগুলোর মধ্যে পার্টনারশিপ তৈরি করতে পারা আমাদের জন্য গর্বের।

অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেইফটি-র কাজকে আরও এগিয়ে নিতে ২০১৮ সালে নিরাপনের যাত্রা শুরু হয়। বিভিন্ন গ্লোবাল ব্র্যান্ড ও আগুন, বিদ্যুৎ ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের পরিচালিত একটি উদ্যোগ এটি। ২০১৩ সালে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক রানা প্লাজা ধ্বসের পর এই উদ্যোগ থেকেই শত শত ফ্যাক্টরি প্রয়োজনীয় কারিগরি মান অর্জনে সহায়তা পেয়েছে। এর মাধ্যমে ফ্যাক্টরিগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার সূচনা হয়। এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এবং বাংলাদেশে নিরাপদ কর্মস্থলের একটি সার্বিক চর্চা তৈরির লক্ষ্যে অ্যালায়েন্সের মেম্বাররা নিরাপন শুরু করে।

ফ্যাক্টরিতে এখন আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার চর্চা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে মেম্বারদের সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে কাজ করছি। এতে করে ফ্যাক্টরিগুলোয় কাজসংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমে আসে এবং দুর্ঘটনা এড়ানো সহজ হয়।