শিক্ষা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি আসলে চর্চার মাধ্যমে পরিবর্তন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের ফ্যাক্টরিগুলোতে নিরাপত্তার ক্রমবর্ধমান টেকসই কর্মসংস্কৃতি প্রতিষ্ঠাই নিরাপনের লক্ষ্য।
আমাদের পরিবর্তনের তত্ব (থিউরি অব চেঞ্জ)
আমরা বিশ্বাস করি, সচেতনতা বাড়ানো, দক্ষতা উন্নয়ন এবং কারখানার প্রয়োজন অনুযায়ী নীতিমালা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ ও টেকসই কর্মপরিবেশ তৈরি করা সম্ভব। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলোতে একটি টেকসই নিরাপত্তা সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষে নিরাপন বেশকিছু কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, যার মধ্যে কর্মীর নিরাপত্তা বৃদ্ধি, সদস্যদের (মেম্বারদের) সাথে মতবিনিময় ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন ও নিরাপদ কর্মস্থল এর নিশ্চয়তা প্রদানের সাথেসাথে নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত।
আমাদের সেবা
আমাদের মেম্বার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সাপ্লায়ার ফ্যাক্টরিকে নিরাপন সেইফটি ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে অন্তর্ভূক্ত করে। যার মাধ্যমে আমাদের লোকাল পার্টনারদের কারিগরি দক্ষতা ও জীবনযাত্রার জায়গা তৈরি করে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নিরাপনের সেইফটি সাপোর্ট টিম ফ্যাক্টরিগুলোর নিরপত্তার কাঠামোভিত্তিক বিস্তারিত ব্যবস্থাপনা তৈরিতে সহযোগিতা করে। ফ্যাক্টরি ম্যানেজাররা নিরাপনের ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই নিরাপত্তা বিষয়ে তাদের দরকারি তথ্যাদি পেয়ে থাকেন।
শিক্ষামূলক কার্যক্রম
একটি নিরাপদ কর্মস্থল তৈরির জন্য আমাদের নিরাপত্তা বাস্তবায়ন কার্যক্রম ফ্যাক্টরিতে কাজ করা সবাইকে তাদের গুরুত্ব বুঝতে এবং মেনে চলতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে এটি নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। এজন্য ম্যানেজার ও ফ্যাক্টরি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে যা একটি নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতার পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণেও তাদের দক্ষ করে তোলে।
শ্রমিকদের জন্য হেল্পলাইন
আমরা আমাদের কথা নামে একটি স্বনির্ভর সংস্থার সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করি। তারা একটি হেল্পলাইন পরিচালনা করে, যেখানে শ্রমিকরা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে নির্ভয়ে ফোন করে নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয়ে রিপোর্ট করতে পারে। এর মাধ্যমে ম্যানেজাররা তাদের সমস্যাগুলোর দ্রুত ও টেকসই সমাধান দিতে পারেন। আমরা হেল্পলাইন থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলোকে সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং কাজের ধারার প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে চিহ্নিত করে এ ব্যাপারে শিক্ষা কার্যক্রমকে অবহিত করতে পারি।